চাকমাঘাটে লরি দুর্ঘটনায় চালকের মৃত্যু, দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের চরম গাফিলতি! প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ সর্বত্র
NEBT নিউজ ডেস্ক, আগরতলা, ৫ আগস্ট ২০২৫ চাকমাঘাটে লরি দুর্ঘটনায় চালকের মৃত্যু, দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের চরম গাফিলতি! প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ সর্বত্র তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত চাকমাঘাট এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ও তার পরবর্তী প্রশাসনিক গাফিলতির ঘটনায় আবারও সামনে এল দুর্যোগ মোকাবেলার নামে কেবল কাগজে কলমে প্রস্তুতির বাস্তব চিত্র। সরকারি কোষাগারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হলেও, বিপদের সময় সেই দপ্তর এবং মহকুমা প্রশাসনের ভূমিকা কার্যত ‘নিধিরাম সরদার’— এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সূত্র অনুযায়ী, গতকাল রাত্রি আনুমানিক আড়াইটা নাগাদ চাকমাঘাট এলাকায় ধর্মনগর থেকে আগরতলাগামী সিমেন্ট বোঝাই একটি লরি জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। লরির চালক তথা মালিক, কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা মিহির লাল দেবনাথ দুর্ঘটনায় সামনের অংশে চেপে গিয়ে আটকে পড়েন। তিনি জীবিত থাকাকালীন বারবার অনুনয় করলেও প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা ধরে তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন। অত্যন্ত সীমিত যন্ত্রপাতি ও অকার্যকর আয়রন কাটার নিয়ে উপস্থিত হন দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের দুই-তিনজন কর্মী। প্রায় সাত ঘণ্টা পরে এক ডিসিএম অফিসার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখনও চালক মিহির লাল দেবনাথকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ তার নিথর দেহ উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, এই ধরনের প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে একজন চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে, যা ক্ষমার অযোগ্য। যেখানে প্রতিনিয়ত দুর্যোগ মোকাবেলা ও উদ্ধার অভিযানে দক্ষতার প্রশিক্ষণের দাবি করা হয়, বাস্তবে দেখা গেল চূড়ান্ত ব্যর্থতা। এই ঘটনায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমাজের বিভিন্ন মহল। তবে, এই দুর্ঘটনার পর TSR-এর ১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কিছু সদস্য সীমিত সামর্থ্যেও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনা শুধু একটি প্রাণহানির নয়, গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার অদক্ষতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রতিচ্ছবি— এমনটাই মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
8/5/20251 min read
My post content